Thursday, September 18, 2025

আশ্রম

পবিত্র সেই ঘরে দাঁড়িয়ে আজ ভাবি -
মন্দির নয় সেটা তারও অধিক কিছু ।
পবিত্র থেকে পবিত্রতম এক তীর্থস্থান - 
বই শুধু নয়, শিক্ষা যেখানে মানুষ হওয়ার। 
এই বাণী যদি পৌঁছে যেত, সব  
অন্ধকার মনের কপাট খুলে, যেমন -
মন্দিরের ওপর পড়ে পূবের রবি। 
সেই উষ্ণতায় আগলে রেখেছিলেন মন,
আর কুমোরের কাঁচা মাটির মতন -
আকার দিয়েছিলেন জন্ম নেওয়া চিন্তা। 

মাতা-পিতা দেখান এই গোলকের আলো -
আর গুরু সেখান সেই আলো চিনতে পারা।  
রক্ত-মাংসের নয় উনি জননী জ্ঞানের - 
যেমন কিছু বই হয় যা থাকে অদৃশ্য -
শুধু গুরুর ছায়ায় এসে তাকে পড়া যায়। 

ধরণীতে সবাই ক্ষনিকের অতিথি, তবুও -
সে অমর আমার মস্তিষ্কের কোটরে। 
হাজারো প্রাণ এসেছিলো ও আসবে 
সেই পবিত্রতম গুরুর স্নেহের আশ্রমে।

আমার ঈশ্বর আছে আমারি মনে -
তাকে দেখার সেই দিব্য চোখ, সেও 
ছিল তারই জীবনকালের প্রচেষ্টা। 
দ্রোনা কে শুধু যে অর্জুন পায় -
বাকি রা রয়ে যায় একলব্য হয়ে। 


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫







পুরাতন

পুরোনো কবিতার বই হাথে নিয়ে 
ধুলো সরিয়ে দেখি, পুরোনো স্মৃতি 
ভুলানো কথা, তোমার ছবিটি পড়লো নিচে 
এমনি করেই জীবনের সম্পর্কের চূড়া 
থেকে নেমে এসেছি আমি একে একে ...

পাতা উল্টে পুরোনো লেখা পড়তে পড়তে
মনে এলো এটাই ছিল তোমার প্রিয় কবিতা 
তোমারি ছিল প্রতিচ্ছবি, শুধু তোমার কথা 
স্মৃতির পুনরাবৃত্তি শুধু হয় মনে মনে
সেই যেন নীলগিরির কোলেই বসে সূর্য দেখা ...

কতদিন গেছে পাশেই বসে কিছু না বলেই 
নিঃশব্দ নিস্তব্ধ থেকেও সব বুঝে যেতে 
ব্যাপ্ত লালিমা দেখতাম মুখমণ্ডলে 
সেই বিস্তৃত ললাট দেখেছি পূর্ব থেকে পশ্চিমে
একটি ফ্রেম বন্দি উপন্যাস ছিলে তুমি ...

পৃষ্ঠা পাল্টে বুঝি এক স্মৃতির সাগর পার হলো 
ইচ্ছেগুলো ভেলায় করে ঝড় করেছিল পার
প্রতিক্ষনে বুঝি নাবিক আমি যাত্রী নেই কেউ  
লেখা, কথা, হাসি, কান্না সবই যেন জলছবি 
সাহারার থেকে উড়ে আশা না বোঝা কথা ... 

দিনের ইচ্ছে রাতের তারাদের কে শুনিয়েছে 
কত শব্দ জুড়ে স্বপ্ন বুনেছিলে চাঁদের বুকে 
তুমি যে লেখনীর রচিত ছলনার কবিতা 
রং, তুলি, ক্যানভাস বিহীন এক প্রতিকৃতি 
মরীচিকার মতন স্পষ্ট কিন্তু কোথাও নেই ... 


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫