Wednesday, November 5, 2025

দৈনন্দিন

কালো থেকে নীল হবে, হবে হলুদ পরে। 

তারারা আছে স্পষ্ট, ওরাও যাবে যে সরে। 

দেরি জীবন সংগ্রাম, এখনো নিস্তব্ধ প্রায়। 

জটিল দৈনন্দিন যে আছে সরল নিদ্রায়।


অন্ধকার কাটিয়ে পাখিদের হবে আনাগোনা -

তাদের কলরব চারিদিকে যাবে যে শোনা। 

ভোরের কীর্তন উচ্চস্বরে, নিয়ে খোল, করতাল -

জানিয়ে গেলো একটু পরেই আসছে সকাল।


স্বপ্নে ব্যাঘাত, অপূর্ণ ঘুম থেকে জোর করে ওঠা -

যান্ত্রিক নিত্যকর্মের সাক্ষী, পূবের পিঙ্গল ছটা। 

বিশ্রামহীন চালিকা শক্তি, এই সংসারের ধর্ম -

নিজের মনকে মেরেই চলছে নিত্যদিনের কর্ম। 


অপরিচিত চেহারা কত রোজ পাশ কাটিয়ে চলে -

ক্ষনিকের চোখে চোখ, কেউ যে কথা নাই বলে। 

রক্তিম তেজ সন্ধ্যায়, সেও যে হয় শান্ত আবার -

ছুটছে অসংখ্য পা, নেই অধিকার ক্লান্ত হওয়ার। 


প্রসেনজিৎ দাস ©১৯৯৭-২০২৫


প্রশান্তি

একটি সুন্দর সন্ধ্যা, শান্ত এবং মুক্ত। 

পবিত্র সময়টি সন্ন্যাসীনির ন্যায় শান্ত। 

প্রশংসায় হতে হয় নিঃশ্বাসহীন সেই ক্ষণে। 

প্রশস্ত সূর্য তার প্রশান্তিতে ডুবে যাচ্ছে। 


স্বর্গের কোমলতা সমুদ্রের উপর ভাসমান। 

অদৃশ্য, পরাক্রমশালী সত্তা রয়েছেন জেগে। 

তাঁর চিরন্তন গতিতে সে নিজেই চলমান। 

এক শান্ত দৃষ্টিতে, একাগ্র মননে, একাকী -

বসে কল্পনা করতে হয় সৃষ্টির প্রসারতা। 


যে আমার সাথে এখানে করে বিচরণ, তাঁর -

অস্তিত্ব অনেকের অনুভূতির পরিধির বাইরে। 

সেই বিস্তর প্রকৃতি চিন্তার দ্বারা অস্পৃশ্য -

বলে মনে হলেও, সে কম ঐশ্বরিক নয়। 


মন্দিরের ভেতরে মূর্তি, মন্দিরে হয় উপাসনা।

দেখো তার বাইরে, অনুভূতি নাও উচ্চস্তরে।  

ঈশ্বর সাথেই আছেন আর আমরা তাঁরই কোলে।  


প্রসেনজিৎ দাস ©১৯৯৭-২০২৫