Tuesday, October 21, 2025

ওরা সবাই সীমান্তে

সীমান্তরেখার ওপারেও আছে প্রসারিত,
সৈন্যরা সতর্ক অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে।
দেশ ভাগের থেকে, দুই দিকের একই কাহিনী ।

উন্নতির পথে একটি দেশ, আরেকটি -

আশাহীন পতনের রাস্তায় পা বাড়িয়ে ।

সৈন্যরা সর্বদাই আদেশ মেনে চলে,

করে না কখনো পাল্টা প্রশ্ন।


নিরপরাধদের লুণ্ঠন করা হয়েছে নিয়মিত। 

এক লঘুগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল -

ক্ষনিকের জন্যে সম্পত্তি, প্রাণ ও -

নারীর সন্মানহানির পূর্ণ অধিকার। 


তাদের কণ্ঠ চিরতরে দমন করা হয়েছে।

একটি নির্দিষ্ট ধর্মালম্বী শ্রেণীকে নিশ্চিহ্ন -

করার হয়েছিল আপামর চেষ্টা। 

ক্ষমতার আসনে বসা মেরুদন্ডহীন -

ভেড়ার দল এটি নির্ধারণ করেছিল -

কখন, কাকে, কিভাবে মেরে ফেলতে হবে। 


অযোগ্য জননেতা নিজের দেশকে যতটা -

ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে, অতটা শক্তি -

কখনোই কোনো শত্রু দেশের হয়না। 


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫



শেষের ভাবনা

'আমি পূর্ণরূপে বাঁচতে চাই',
প্রায়শই আমার মাকে বলতে শুনেছি।
জানতাম দিন খুবই কম, আকাঙ্খাগুলো  -
অসম্পূর্ণ, সবই রয়ে গেলো এলোমেলো।
রুক্ষ রাস্তায় ওপর হেঁটেও সে জানতো -
হাসতে ও হাসাতে। হতাশা হৃদয়ের -
প্রতি কোণে করে শোকে ভারাক্রান্ত।


'আমি যদি আরও বাঁচতে পারতাম',

কতই না বেদনাজরানো অনুভূতি ছিল। 

একদিন তার ব্যথা শেষ হবে ।

তাঁর শরীর শান্ত হবে এবং তাঁর -

সন্তান তখন একা হবে আগামীতে ।


অবশ্যই, আমি জানি তাঁর দিন কম ।

কিছু হয়েছিল শেষ আর কিছু অগোছালো।

'আমি যদি আরও বাঁচতে পারতাম',

উনি বলতেন । নিজের জন্যে নয়,

তবে সন্তান কে একলা ফেলে রেখে -

যাবেন সেই চিন্তায় থাকতেন উদ্বিগ্ন ।


একদিন তার দৈহিক যন্ত্রনা  হবে উপশম ।

কিন্তু মনের যন্ত্রনা ? হয়তো সেটা কোনো -

প্রকারে আমায় মনে করিয়ে দেবে, কিছু -

জ্বালা মানুষ নিজেকে শেষ করার -

পরেও তাকে বহন করতে হয় ।


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫

ভাঙা ডাল

যারা প্রতিশ্রুতি দেয়, তাঁরা নিশ্চিতভাবেই -
জানে, গাছ থেকে ভেঙে দেওয়া ডাল -
আরোগ্যের অভাবে শুকিয়ে যাবে ।

থাকত যদি গাছে, ডালগুলো মুক্তভাবে -

ঝুলে থাকত, দুলতো পশ্চিমি হাওয়াতে ।


পাখিদেয় হতে পারতো এক স্থায়ী আবাসন ।

এখন সেই ভাঙা ডাল নেই কারোর স্মৃতিতে ।

অবশিষ্টাংশ খুঁজে হাতে আসে শুধু শুন্যতা ।


যারা ছিনতাই করে, ডাকাতি করে, তাদের -

বিবেক দংশন করে না । যারা অন্যের -

অন্যায়ের হয়েছে শিকার,সেটা সম্ভব হয়েছে -

মুখোশের আড়ালে মিষ্টি হাসির ভন্ডামিতে । 


ভেঙে পড়া ডাল ফিরবে না আর স্বমহিমায় । 

পিঁপড়ের হবে কিছুদিনের খাদ্য, পরবর্তীতে -

নিঃশেষ হয়ে যাবে সমাজের জীবাণুর দ্বারা ।


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫




Monday, October 20, 2025

অহংকার

কিছু মানুষ তাদের অহংকার -
নিয়ে বেঁচে থাকে, আর কেউ -
তাকে ছেড়ে দেয়। আমরা চারপাশে -
একটি প্রাচীর তৈরি করি, এবং -
অবাঞ্ছিত হট্টগোল করি জীবনে। 

আমরা যদি জানতাম, অহংকার -

দেখানোর জিনিস নয়। বরফ ভেঙে -

ফাটল তৈরি করে সময়ের সাথে -

আমরা ধীরে ধীরে দূরে সরে আসি। 


বরফের খন্ডের মতো আমরা আলাদা -

হয়ে যাই। এই অহং শুরুতেই সবকিছু -

নষ্ট করে দেয়। সময়ের সাথে সাথে -

ফাঁকগুলি বৃদ্ধি পায়। 


বরফ যেমন জলের ওপর ভাসে, ঠিক -

তেমনি সম্পর্কগুলো অহংএর নৌকোয় -

চেপে বিভ্রান্তির সাগর পার করে। 


আমরা আমাদের অহংকারকে বৃথাই -

আভূষণ ভেবে তার প্রদর্শন করি। 

ভালো সবই হারিয়ে যায় যন্ত্রণার সাথে। 

চোখ মেলে দেখার সময় চলে যায়নি,

হয়তো কেউ আছে অপেক্ষায় পরিবর্তনের। 


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫



যা হয়নি

সেই প্রতিশ্রুতির কি হবে, যাকে ভাঙা হয়েছিল ?
স্মৃতিকথা সবসময়ই একটি মধুময় মুহূর্ত,
অনেকেই দুঃখে কেঁদেছেন তারই জন্য।

সেই নীরব অশ্রুগুলির কী হবে, যা -

অসংখ্য রাত বালিশ ভিজিয়েছিল?

ভয়ের আকারে প্রকাশিত মনের মাঝে,

যা স্বপ্নগুলোকে উদ্বিগ্ন করে তোলে।


এমন পথের কথা কী ভেবেছো,

যেখানে কেউ আমাদের পাশে নেই?

একাকিত্ব কে করেছো কি কখনো -

নিজের চলার পথের সহযাত্রী?


শূন্যতার ওজন কয়টি প্রাণী অনুভব -

করতে পেরেছে তাঁদের জীবনে ?

যে পথে নেই পায়ের চিহ্ন, সেই অদূষিত -

পথ ধরেই চলবে এক যাযাবরের যাত্রা। 


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫





মন্দির

যখনই মন্দিরের ঘণ্টা বাজে,
পুরোহিতের কপাল মাটি স্পর্শ করে।
রোজ দিন শুরু হয়,
স্তবগান এবং মন্ত্রোচ্চারণ দিয়ে। 
একজন সন্ন্যাসী সেইক্ষনে গাছে জল দেন।

গম্বুজের উপরে একটি লাল পতাকা উড়ে,

ধূপের সুবাস ছড়ায়, একটি ঐশ্বরিক বাড়ি।

জাফরান পোশাক পরা পুরোহিত, ফুল তুলছেন,

তিনি প্রতিদিনই ভোরবেলা এটি করে থাকেন। 


কিছু পাখি কিচিরমিচির করে, কিছু উড়ে যায়,

নিষ্পাপ চোখের জন্য এটি সৌন্দর্যের জিনিস।

মানুষ মন্দিরের দ্বার দিয়ে ঢোকে ভিড় করে,

তাদের ভাগ্যলেখ পরিবর্তনের আশা নিয়ে।


বিশ্বাস থেকে প্রার্থনা আসে, সবার তো নয়। 

দিনের পর দিন যায়, ঈশ্বর যেন তাদের -

শুধুমাত্র এক স্বপ্নপূরণের মাধ্যম।

পবিত্র মনের অধিকারী সেই পুরোহিত -

তাঁর প্রার্থনা এবং প্রচার চালিয়ে যান সর্বক্ষণ - 

ভিক্ষুক বা ধনীদের জন্য একইভাবে।


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫


ফেরিওয়ালা

রাস্তার ফেরিওয়ালা চিৎকার করে উঠল
তার জিনিসপত্র বিক্রির চেষ্টা করছিল।
তার হাতে নেওয়া বড় ঝুড়িটিতে,
স্তরে স্তরে ভাঁজ করা উজ্জ্বল পর্দা।

তার কাছে চুড়ি, আংটি এবং মালা ছিল। 

এক ধোনি ব্যক্তির কাঁচের জানালার -

থেকে একটি মিষ্টি হাসি দেখা যাচ্ছিল।


মেয়েটির মুখে আনন্দ ও সুখের রঙ,

গলায় একটি সোনার সুসজ্জিত মালা। 

বিক্রেতা ব্যস্ত রাস্তায় হেঁটে বেড়ায়,

রৌদ্র, জল, ঝড় উপেক্ষা করে।  

লাভ বা ক্ষতির হতে হয় সম্মুখীন। 


চামড়া পোড়ানো তীব্র গরমে,

তাঁর চলার নেই কোনো বিরাম। 

মাঝে মাঝে খাবার ছাড়াই -

জল খেয়েই তাঁর দেহ কে দিতে -

হয় চিৎকার করার প্রবল শক্তি। 


তাঁর মেয়ে রঙিন চুড়ি চাইত -

পারেনি সে এক জোড়াও দিতে। 

ভাঙা হৃদয়ে ছিল শিশুসুলভ দাগ।

অন্যের কন্যা সন্তানদের মধ্যে -

ফেরিওয়ালা খুঁজে পেয়েছিলো তাঁর -

নিজের মেয়েকে। মনকে স্বান্তনা -

দেওয়ার এক অনবদ্য দৃষ্টিভঙ্গি। 


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫


বয়সকালে

এক অনন্তগামী নীরবতা আসবে -
চারিপাশে, যখন থাকবো না আর । 

ক্ষনিকের হবে কোলাহল, ক্ষনিকের -

হবে দেখা হওয়ার এক উপলক্ষ মাত্র।  

হয়তো হবে কিছু মানুষের এক সভা -

যাদের নিজের বলেই জেনে এসেছিলাম। 


যৌবনের স্মৃতির তীক্ষ্ণতা মাথা নত করে -

মতিস্থিরতার অভাবকে জায়গা দেবে । 

পূর্বের বাহুবলের গর্ব উবে যাওয়া -

বাষ্পের মতন সৃষ্টি করবে অক্ষমতা। 


জমানো রত্নের অবক্ষয়ের মতন, এই  -

প্রাণের প্রতিটি চঞ্চল কণা নেবে বিশ্রাম।  

নিরাকার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করেছিলাম -

পরের পর্বে বাস্তবকে লাগবে স্বপ্নের সম। 


একসময় বক্ষবন্দি যে অহংকার ছিল,

সে বিদ্রুপের সাথে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

নতুনরুপি বৃদ্ধ মানুষটিকে অগ্নিশয্যায় -

চিরসমর্পন করা হবে। ভাসানো হবে ছাই। 


কোলাহল, কলরব, রাগ, ভালোলাগা, দুঃখ -

মিলিয়ে যাবে অসীম ব্রহ্মান্ডের চরাচরে। 

ফেরা হবে না আর, সবার স্মৃতির থেকে -

মুছে যাবো, থাকবে না কোনো প্রতিধ্বনি। 


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫


মেঘদূত

আসছে মেঘদূত, আসছে নতুন বার্তা -

আসবে সুখ, সমৃদ্ধি ও আনন্দের সকাল |

দিগন্তহীন আকাশের বুকে ভেলা ভাসিয়ে -

ঝাউবন আর দেবদারুদের বার্তা দিলো |

সব কিছুই শান্ত আর স্থির হয়ে আছে -

মনের মধ্যে লালিত হচ্ছে এক প্রত্যাশা |


কখনো উঁচু পর্বতমালা, পাহাড়ের চূড়া,
শহর ও গ্রাম পার করে এসেছে |
প্রাচীনতার জীবনশৈলীর সাথে পরিচয় -
এ যেন এক অমূল্য সম্পদ প্রাপ্তি |

সরল ঘাস জানে না বৃষ্টির আগমনী |
কীটপতঙ্গের কলরব মেঘ পায়না শুনতে |
তুষার হয়ে আসে, আসে মনোরম বৃষ্টি -
কোটিবার দিয়েছে নিজেকে উজাড় করে |

আগামীর প্রতিশ্রুতির এক মেলবন্ধন -
ডুবন্ত সূর্য নিজের অবশিষ্ট লালিমা -
মেঘকে উজাড় করে বিদায় নিয়ে যায় |
বিদ্যুতের ছটা তাঁর রুপালি মাধুরী দিয়ে -
করে পূর্ণিমার ন্যায় আলোকিত |

প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫

Sunday, October 19, 2025

মৃত্যুর জন্ম

সবার মাঝে সেই অতল গহ্বর -

খুলে যাওয়ার পর থেকে,

জীবন যে আর স্বাভাবিক নেই। 

বজ্রধ্বনির সাথে অসহায় দিনগুলো -

কেটে যায় নিরাশা আর শঙ্কায়।

মানুষ হতাশা আর হতাশার -

এক ঘোরের মাঝে ভেসে বেড়ায়।


সবার মাঝে এক অস্বাভাবিক শূন্যতা। 

এখন কাঁচের মতন ভঙ্গুর জীবনযাত্রা। 

রাস্তা দুর্গম আর বেদনাদায়ক। 

সবারই মাঝে দূরত্ব যে অনেক বেশি -

গোলকটা এখন এক অস্থির গোলকধাঁধা। 


বেঁচে থাকার ইচ্ছে যে অপরিসীম,

যা মানুষকে নির্মম ও কঠিন পরিস্থিতেও -

দেয় মানবজাতিকে এক আসার আলো। 

সূর্যমুখীর থেকে শেখা যায়, মেঘ এলেই -

যে সব শেষ তা নয়, আছে লড়ে যাওয়ার -

এক দৃঢ় সংকল্প, পরিণতি উপেক্ষা করে। 


ধ্বংসস্তূপের মাঝে বসে কাঁদতে না পারা,

আর  কাপড়ে মোড়ানো মায়ের বুকে -

স্তন্যপুষ্ট শিশুর নির্জীব দেহ,

প্রশ্ন করে ঈশ্বরের অস্তিত্ব্যের। 


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫

 

বিশৃঙ্খলা

ঝোড়ো হাওয়ার এই আছড়ে পড়া -
এটা তো বাতাসের দোষ নয়। 
এলোমেলো হলো আমার ঘর। 
জানালা তো খুলেছিলাম আমি। 

কাঁচের মতনই ভেঙে যায়,
আগামীর স্বপ্নপূরণের  চেষ্টা।
বালুঘড়ির সাথে চলছে রোজকার -
প্রতিযোগিতা, শেষ বালুকণাটিও -
হাতের মুঠোয় দেয় না ধরা।

মনকে টেনে নিয়ে যায় শূন্যতায় -
দেহ ঘিরে নেমে আসে অসাড়তা। 
মন সেই মুহূর্তে হয়ে যায় প্রাণহীন -
এক বলির পশুর মতন খুঁটিতে বাধা। 

একটা না বলা যন্ত্রনা জীবনের এক -
সুন্দর অংশকে কর্কট রোগের মতনই -
প্রতিনিয়ত কুড়েকুড়ে খেয়ে যায়। 
এক অগ্রিম হেরে যাওয়া যুদ্ধের -
শুধুমাত্র এক দর্শক সিপাহী মাত্র।

মাকে হারানোর কষ্ট যতবারই -
কলমের দ্বারা প্রকাশ পাবে -
হবে এক ভিন্ন মাত্রার কবিতা।

প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫





ধিক্কার

কোনো এক শহর যা অগ্নিদগ্ধ হয়েছে -
কারণ কোথাও, কোনো না কোনো -
শহরে আগুন সব সময়ই জ্বলছে। 

হয়তো তুমি চোখ ফিরিয়ে নেবে কারণ -

ওটা তোমার শহর নয়।  বিশ্বাস করো -

ওটা তোমারও শহর যা নিঃস্পাপদের -

রোজ ছুড়ে ফেলছে উগ্রবাদীদের চিতায়। 


কালো ধোঁয়ার মাঝে যে শিশু কাঁদছে -

জেনে রেখো সে তোমারও সন্তান। 

মা কে চেনার আগেই হয়তো এই -

ধূসর পৃথিবীকে সে ছেড়ে যাবে। 

মায়ের কোলে শুয়ে সরল হাসি -

তাঁর ভাগ্যলিখনে খচিত হয়নি।  


ঈশ্বর নাকি সবই দেখছে ! একটা চাপা -

ঘৃণার হাসি ঠোঁটে এসে বুকের ভেতর -

ফেলে রাখে বারুদের হাড় জ্বালানো গন্ধ। 


মরুভূমির ওপর সুখী পরিবারগুলি -

আজ না ভোলা ইতিহাসের পাতায়। 

তাঁদের ভুলে যাওয়া যে হবে মহাপাপ। 


দাদুর সমাধিফলকের সামনেই পরে আছে -

আগামী প্রজন্মের নিথর দেহ। ওক গাছটিও -

ঝলসে গেছে তার পূর্ণসৌন্দর্যে আসবার আগে। 

এই বাগানে আর কোনো ফুল নেই। শুধু আছে -

এক আর্তনাদ যা শান্ত হবে প্রতিশোধের শেষে। 



প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫


পাহাড়ে রবিবার

ঠান্ডা রবিবারের সকাল, ঘড়ি বলছে ৬টা - 

পর্দা সরিয়ে দেখি বাইরে মেঘের ঘনঘটা । 

ঘষা কাঁচের জানালায় শিশিরের সমাবেশ - 

ঠান্ডা ছোঁয়ার অনুভূতি, মনোরম পরিবেশ । 


আলতো করে খিড়কি, একটু খোলা হলো - 

দলবদ্ধ হীমেল হাওয়া অতিথি হয়ে এলো । 

কুয়াশা ও মেঘের আস্তরণে সর্পপথ ঢাকা -

নিদ্রামগ্ন রবি এখনো, শশীর নেই যে দেখা ।


এক রাস্তার একাকিত্বের অনেক গল্প  আছে -

সহস্র প্রাণের আনাগোনা, এই জানালার কাঁচে। 

শহরের কিছু বন্ধু মেঘ হয়তো এসেছে উড়ে -

আলোর ঝর্ণা কিভাবে নিজেই উপচে পড়ে ।


পুবের উষ্ণ আলোতে ঝাউবন জেগে ওঠে -

স্বপ্নময় উপত্যকায় অজস্র রঙিন ফুল ফোটে ।

সরল শিশিরগুলো এবার নিলো যে বিদায় -

সবুজ পাহাড় জেগে ওঠে তাঁর পূর্ণ মহিমায় ।


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫