Thursday, September 25, 2025

অকালীন

কিছু সবুজ পাতা ঝরে অকালে -

তার কাহিনী জানবে না কেউ -

লুটিয়ে পড়বে যেখান থেকে - 

সেখানেই ছিল যে তাঁর উৎস। 

তার অব্যক্ত কথা যা কোনোদিন -

আর শব্দ হবে না, শুনবে না কেউ। 


সব সরল কুঁড়ি যে ফুল হবে না -

এমনি লিখন তাঁর, বাকিদের মতন -

সেই সুবাসে মোহিত হবে না কেউ। 

তবুও সে ফুটবে এক আসার আলো -

হয়ে ভরসা দেবে মানুষ এই বলে, যে 

সবার গন্তব্য যে এক কিনারায় নয়।  


মাটির প্রদীপের ন্যায় অনেকে -

জ্বলে যাবে সারা জীবন, এটা জেনেও -

সে উষ্ণতা দিতে হবে অক্ষম ।

তাঁর আলো দেখাবে কালো অন্ধকারের -

পথ যাত্রীদের। নিজেকে পুড়িয়ে, 

কালিমায় ঢেকে তাও সে জ্বলবে -

তার যে উদ্দেশ্য নিজেকে উজাড় করার।  


নরকের তপ্ত ভূমির মতন জ্বলে ওঠায় -

যে মানুষের হওয়া উচিত লক্ষ্য। যাহারা -

তোমার পড়ে যাওয়াতে হাততালি দেয় -

দেখুক তারা কিভাবে সেই অগ্নিগর্ভ 

থেকে উঠে আসে অনবদ্য খাঁটি সোনা।   


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫


আজ মন চেয়েছে

জলের ওপর হাঁটতে গিয়ে, ওরা ডুবে গেলে কেন ?

অন্ধ ছিল বিশ্বাস ওদের, এই কথা তো মানো ?


হাত নাড়িয়ে বলে সে, উড়তে আমি চাই। 

মন চেয়েছে আমার, করবো যা ইচ্ছে তাই। 


বাঁধন আমি মানব কেন ? জানিস আমি কে ?

বাঘ কে আমি বস করেছি, ভাল্লুক নিয়েছি কোলে ।  

হলো সব সাদা নীল, লোকে জানতো যা লাল বলে।  


বুঝে দেখ এবার কত বড়ো জাদুগর আমি -

চমকে ওঠে আমায় দেখে, স্বয়ং অন্তর্যামী !


"রাম্বা দুম্বা হাম্বা জুম্বা", এই মন্ত্র কজন জানে ?

খাতায় লিখে নাও সবাই, কাল পরীক্ষা নবান্নে। 


মানুষের বাচ্চা জন্ম নেয়, জানো  তিনশো কিলো ? 

চিকিৎসার জগৎ কে একটা হালকা ধাক্কা দিলো। 


ত্রিশ পার্সেন্ট চল্লিশ পার্সেন্ট, অঙ্কের ধরণ এটা -

নদী বলে, আমি নেই যেখানে, সেতু বানালি কটা  ? 


চোখ খোলা তাও মুখ বন্ধ, কৌশল আমার জানা -

জনতা ভাবে ওরাই রাজা, ভুল ভাবতে নেই মানা। 


হয় না বিপদ আমার, জানি হিং টিং ছট মন্ত্র -

খুব বিপদে বলি, "সব বুঝি, এটা ওদের ষড়যন্ত্র"।  


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫

 

 

কুম্ভকর্ণ

নত শির করে হাত পেতে আছো -

ন্যায় এর জন্যে ? ভিক্ষা নয় ?

একত্র আঙুলে, মুঠো পাকিয়ে দেখো -

আছে বিপ্লবের অসীম শক্তি অন্ততয় .

নালার মধ্যে যেমন মশা বৃদ্ধি পায় -

এমনি এরা যে রোজ রক্ত চুষে নেয় .

অনেক দুঃখ জমে জনতার চোখ ভিজেছে -

মজ্জা এদের এখন কংক্রিট হয়ে গেছে .


যেই হাড়ে নেই মানবিকতার জায়গা -

উপ্রে ফেলো তাকেই, হোক কষ্ট -

সহ্য করে নাও তাকে আগামীর জন্যে .

পচন ধরা অঙ্গ নিজের হলেও -

তাকে নিজের দেহ বাঁচাতে কাটতে হয়.

ভাবছো কি? পচে যাওয়া চিন্তা যে -

আর পূর্ণ সুস্থতায় সমাজ কে ফেরাবে না. 

তোমরা বিরোধ করছো রাস্তায় বসে ?

এই দেখে যে রাজা মুচকি হাসে !

অবশ্যৈ তোমাদের সামনে কখনোই নয় .

তোমাদেরই করছে ক্ষতি ... 

জিজ্ঞেস করেছো নিজেকে, এটা 

কাদের  চয়নের পরিণতি ?


উঠে দাড়াও, বন্ধ করো নাটক,

কিসের জন্যে তোমাদের এই অনশন ? 

টেনে নামও ওকে, খালি করো সিংহাসন .

বসবে নতুন রাজা, মানুষের মন জেনে .

নজর রাখো, আবার যদি পচন ধরে 

একত্র হয়ে সবাই, একেও নামাবো টেনে .


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫


Wednesday, September 24, 2025

নিশ্চিত অনিশ্চয়তা

এক প্রজন্ম পার হলে, সে হবে অতীত -

এক নতুন ভবিষ্যতের কাছে।

কাল চক্রের বাহিরে যে স্বয়ং কাল ও নেই। 


ভালোবাসা, দম্ভ, অশ্রু,অহংকার, ক্ষোভ -

সবই যে নিয়তির বৃত্তে উধাও হয়ে যাবে। 

নিশ্চিত শুধু থেকে এক অনিবার্য শেষ -

সবই যে ছলনার এক আশ্চর্য গোলকধাঁধা। 


ক্ষুদ্র তৃণ থেকে দৈত্যাকার বৃক্ষ সবারই যে  -

রয়েছে কালচক্রের মধ্যে অনন্য অবদান। 

যে ফুল সুবাস দেবে সে দেখতে সুন্দর -

তো নাও হতে পারে, কিন্তু তাঁরও মধ্যে -

থাকবে এক ভিন্ন্য চিত্তগ্রাহী মোনমোহক গুণ।  


তুলার মতন মেঘ মরুর আকাশে জমায়েত -

হলেই যে বৃষ্টি নেমে উত্তপ্ত বালির তৃষ্ণা -

মেটাবে শীতল করে, কে জানে ?


কোনো কিছু না জানার মাঝে মানুষের -

এই অলীক জগতের ক্রিয়া মস্তিষ্কে -

জায়গা করে নিতে পারেনি আজও। 


সে সারাজীবন যুদ্ধ চালিয়ে যায় এক -

মরীচিকার ন্যায় অধিপত্য পেতে, যা -

থেকেও নেই, থাকবেও না কোনকালে ।  


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫


নদীর চিহ্ন

নদী বয়ে চলে আপন খেয়ালে  -

ছেড়ে যায় চিহ্ন আগামীর জন্যে। 

পাথরের মনে দাগ কেটে যায় -

নিজের মনের কথা বলে। 


যৌবনের ঝর্ণাধারা প্রানোচ্ছল হয়ে -

আলিঙ্গন করে স্থায়ী পাথরের ওপর -

আর জন্ম নেয় অপরূপ গিরিখাত।


এ যেন নিজের অস্তিত্বের এক অংশ -

কারোর কাছে রেখে যাওয়া এক -

সুন্দর স্মৃতি যা সময়ের চক্রে পাষান কে -

মনে করিয়ে দেবে প্রাণবন্ত যৌবনের। 


হাওয়াতে অগ্নিশিখার যেমন হয় কম্পন -

তেমনি পাষান ও শিউরে ওঠে সেই -

চঞ্চল চপলা কন্যারূপি ঝর্ণার আবেশে। 

নিজের সংহতি চুরমার করে ঝর্ণা -

লেখে শিলার অমর ভাগ্য লিখন।  


শিশির যেমন মেলায় চোখের পলকে,-

সেই চঞ্চল কামিনী ও নিযেকে বয়ে -

নিয়ে চলে গভীরতার পথে কারণ -

নদীর পূর্ণতা আসে সাগরে বিলীন হয়ে। 


যৌবনদীপ্ত সেই ধারা কিন্তু ভোলেনি -

তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি, যা পাষানের -

হৃদয় কেও করেছিল অশ্রুপূর্ণ। 


নতুন জন্ম নিয়ে সেই চাঞ্চল্যের -

ঝর্ণাধারা আবার সেই প্রাচীন পাথর কে -

দেবে যৌবনের জোয়ারে ভাসার অনুভূতি। 


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫

বালুকা গৃহ

কিনারায় এসে প্রতিক্ষণ আছঁড়ে পড়ে -

যেন এই ছিল তার শেষ বিশ্রামের স্থল। 


প্রাচীন পাথরের ওপর সজোরে ঝাপ্টা -

দিয়ে জানিয়ে দেয় যে সে এসেছে। 

সে আর ফিরবে না। চিরকালের জন্যে -

সে করলো নিজেকে বিলীন। 


এক রাশ জলের ফেনা ফোয়ারার মতন -

আকাশচুম্বি হয়ে ঢোলে পড়ে, সেই -

বহুআকাঙ্খিত সোনালী বালুকার সৈকতে। 

কি অপরূপ সেই স্নেহমাখা সলিল ধারা -

যা হবে জীবনের শেষ শ্রদ্ধার অঞ্জলি। 


গভীর অন্তহীন সমুদ্রের থেকে তাঁর সৃষ্টি -

আর নিজের অল্পকালের জীবন দ্বারা আনে  -

এক অমূল্য বার্তা। জীবনটা খুবই ছোট,

কিন্তু সে তাঁর নিজেরই মধ্যেই এক পরম প্রাপ্তি। 


এমন যদি হতো, বিন্দুগুলি পেয়ে যেত পাখনা,

নিজের অস্তিত্বের সাথে হতো আসল পরিচয়। 

মেঘের সাথে হতো তাদের ক্ষনিকের পথ চলা -

তারপর বিদায় নিয়ে হতো নির্দিষ্ট যাত্রা।  


এক পুনরাবৃত্তি - আবার ধরণী ছেড়ে, হবে সে -

গগনচুম্বী, নিজের প্রিয়জনের সাথে মিলে -

হবে নতুন জলের ধারা, মেলাবে স্বপ্নের বালুকায়, 

তাঁরই অস্তিত্বের পটভূমি …

 


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫



Tuesday, September 23, 2025

বিবেক

অন্ধকারের মধ্যে থেকে চিরে আসে -

এক ডাক। একটি কঠিন ও করুন ডাক। 

রাত জাগা প্যাঁচার মতনই আমি সজাগ মনে -

বসে শুনি তার জীবন চলাচলের গল্প। 


অন্ধকারের কাহিনী যে সব দিনের -

মানুষের জন্যে নয়। নিজ কর্মকে, সে এক -

বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ডাক। 


রাতে যেমন স্বপ্নভঙ্গ হলে মানুষ জেগে যায় -

তেমনি এক ডাকে হয়তো সেই প্যাঁচাটি -

আমাদের অন্তরেও ডেকে জাগিয়ে তোলে বিবেক। 


প্রাচীরের ওপর বসে, স্থির দৃষ্টি নিক্ষেপ করে -

ডেকে চলে অন্তরে নিদ্রামগ্ন মানুষের কর্মকে।

একা থাকা আর একলা জীবনের মাঝে সেই -

সুর যেন তার জানা, হবেই না কেন ?


আমাদের বিবেক থেকে আমরা যে কখনই -

আলাদা নই। মানুষ যে তাকে রেখে দিয়েছে -

গভীর স্মৃতির সমুদ্রতলে, যা শুধু একমাত্র -

সেই মনের ডুবুরি জানে ওই ঝিনুকের খোঁজ। 


বিবেক কে জাগিয়ে তোলার সেই আকুল -

কাকুতি শুনে চাঁদ ও যে তাঁর আলোর ঝর্ণা -

মেলে ধরে সেই বিবেকের অন্ধকারাচ্ছন্ন -

সুদূর মার্গকে সুগম ও আলোকিত করে ।  


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫


বিলীন

চলতে গিয়ে পাহারের আলো ছায়া পথে -

মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে দেখতে হয় এক খেলা -

নিদারুন, অনুপম এক সুরের মেলবন্ধন |

সে খেলা তে আছে সরলতা, আছে হিসেব -

যা মানুষের নজর থেকে রয়ে যায় অগোচরে |


অপরিসীম মাধুর্যে নিজের রসের ভান্ডার কে -

সবারই মাঝে অঞ্জলীরূপে নিজেকে করেছে -

নিবেদন, আর নিঃস্বার্থ হতে পেরেছে সেই -

অজানা খয়রি ফুল যার সুবাসে আছে -

কাছে টেনে নিয়ে আসার এক সরল আকর্ষণ | 


ওলির সাথেই বিচরণ করা মৌমাছি ও জানে -

অমৃতপানে সবারই যে সমান অধিকার। 

ক্ষনিকের মধুপানে যেন পরস্পর কে -

নতুন করে চেনার এক মনোরম অনুভূতি। 


অমৃতপানে ব্যস্ত অলি কি মনে রাখবে -

পরস্পরের কাছে আসার সেই মুহূর্ত -

ফুলের স্মৃতির পাতায় অমর হয়ে থাকবে। 

বিলিয়ে দেওয়ার আনন্দ, নিজের প্রতিটি -

কণাকে এই জগতের মাঝে বিস্তার করে -

উড়িয়ে দেওয়ার তৃপ্তি, সে যে ফুলটি জানে। 


কত শিক্ষা রয়ে যায় বই এর বাহিরে -

যা শুধু প্রকৃতির পাতায় লেখা আছে। 

শুধু তাকে নিজের মধ্যে বিকশিত করার -

থাকতে হবে এক অপার ভালোবাসার মন। 


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫

তরুবীথিকা

ভোরের আলোর যাত্রা অনেক তরুবীথিকার -
মখমলি ছোঁয়ায় স্নিগ্ধ আবেশ নিয়ে আসে .
নিদ্রায় মগ্ন থাকা ফুলের কুঁড়ির ওপর -
নিজেকে সমর্পন করে তাকে প্রস্ফুটিত করে l

না ফোটা কুঁড়িগুলো, তার অমলীন আকর্ষণে -

ডেকে আনে প্রাতঃ ভ্রমণকারী মৌমাছিদের l

বাগানে তাঁর প্রবেশে ভ্রমর পাপড়িগুলোকে  -

জাগিয়ে তোলে এক বহু আকাঙ্খিত, না বলা -

অন্তরে রাখা মনের কথা, যা শুধুই প্রেমিকার -

কানেই বলা যায় বহু অপেক্ষার অবসানে l


ভালোবাসাহীন এ যেন এক  বিচ্ছিন্ন সময়,

যে নিরলস বুনে চলেছে আসছে ভোরের স্বপ্ন l

ভোরের নীরবতার সে এক কম্পিত রূপ -

যেখানে দুটি মনের ফিসফিসিয়ে কথা বলা হয় l


ভালোবাসা তুমি কৃপণ কেন? হয়তো এই -

কৃপণতার মাঝে জন্ম নেয় এক অনন্য অমরত্ব,

যা সর্বদাই বসন্তের আগমনে অপেক্ষারত l

হৃদয়ের স্নিগদ্ধতা কে জাগিয়ে তোলে সেই -

বহু আকাঙ্খিত, লালিত, রম্য উষ্ণ পূর্বকিরণ l


চত্বরে আছড়ে পড়া রশ্মি নিয়ে নেয় এক -

চমকপ্রদ আকৃতি, বুঝলাম সে তো আসছে -

ভোরের এক নতুন আশা মিশ্রিত যৌবনরূপ, যা -

নবজাগরণের পদধূলীতে আমারি মনের অর্পণ l


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫


Monday, September 22, 2025

অঙ্গীকার

ভাবনা থেকে অনেক নতুন ভাব আসে -

সে জায়গা পায় অন্তরে ও কাগজে। 

কিছু চিন্তা যেন অগোছালো হয়ে আসে -

ওঁরা চায় আমরা ওদের সাজিয়ে নেই। 


লেখকের কলম কি সুবিচার করতে পারে -

তার নিজেরই ভাবনা কে ? ভাবায় আমাকে। 


অনেক ভেবে এটা বুঝি যে সব ভাবনা কে 

বন্দি করা যায় না কলমের চিরন্তন শেকলে।

সব কয়েদির মতন তাদেরও যে কিছু -

না বলতে পারা কথাও থাকতে পারে, -

সেটাও তো কবি কে ভাবতে হবে। 


কলমের বিচার সময় করেছে ও করবে -

আর সেই সময় কে কল্পনার কাঁচঘরে -

চির বন্দি করে কবি ভাবনার কালি দিয়ে।  


ধাবমান চিন্তার সাথে তাল মিলিয়ে -

চলতে হয় লেখনীর দ্বারা হরফগুলি -

দিয়ে তৈরী করা এক অপ্রতিম কল্পনা।  


মূর্তিকার যে প্রতিকৃতি কে আকার দ্যায় -

তেমনি কলমের শব্দগুচ্ছ তৈরী করে 

এক অমর মুহূর্ত, যে সময়ের স্রোতে 

ভেসেও থেকে যাবে তার চিরযৌবনে।


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫


স্বপ্নপূরণ

স্বপ্নের মতন মনে হতেই পারে -
চাঁদের আলো তার পূর্ণ যৌবনে।   

এক মনোরম আবেশে জড়িয়ে 

বয়ে চলে হিমশৃঙ্গগুলি ছুঁয়ে। 

সে তৃষ্ণার্ত, নেই জল তার নদীতে। 


এই পৃথিবী যে চাঁদের সব কিছু -

তার আলোর মহিমা ধরণী জানে। 

চাঁদের লুকোচুরি চলে আর চলবে -

অনন্তকাল ধরেই এদের এই খেলা। 


এই প্রসর অসীম কালো শূণ্যে যে -

আলো চলে নিয়ে তার বার্তা, এক -

অচিন রাজ্যের রাজকুমারীর কাছে। 

এক রাজকীয় আমন্ত্রণ নিয়ে সেই -

রাজার দ্বারে এসে জানাবে চাঁদ -

যে একাকী রয়েছে তারই অপেক্ষায়। 


সেই যুগযুগ ধরেই বিশ্রামহীন চলা -

আলোর বার্তা পৌঁছবে এমনি এক -

নির্বাসিত, রম্য রাজকুমারীর কাছে। 

চাঁদও অপেক্ষারত দূতের উত্তরের -

আজ কি কাল আসে, তার জানা নেই। 


ছুটছে জ্যোৎস্না অবিদিত সাগর দিয়ে -

তার আনন্দের যে আজ সীমা নেই -

সে দেখতে পেলো এক আলোর ধারা -

বুঝলো আজ তার কর্তব্য পূর্ণতা পেল।  


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫