শান্ত তার স্রোত, নতুন কিছু নয়।
ঢেউ ছিল তার চুলের বিনুনির মতো।
নীরবে পাথরের উপর পা টিপে টিপে,
তার সৌন্দর্য বিলিয়ে সেই এগিয়ে চলা।
চঞ্চলতাপূর্ণ যৌবনের অধিকারিণী সে।
তার প্রিয় ভূমিকে, চুম্বনের দিয়েছে স্মৃতি।
সে তারাভরা আকাশের ছিল সাক্ষী,
যা ছিল বহু দূরের এক চিরন্তন বন্ধন ।
এক দুর্ভাগ্যজনক ক্ষনে, প্রধ্বংস এলো তীব্র -
তার কুমারী নিষ্পাপতা মুহূর্তে হলো নত ।
এখনো তার পরিচয়, রয়েছিল অপ্রকাশিত।
শেষের হলো শুরু, নিষ্ঠুরতার হলো স্থাপন ।
তার বাঁকগুলিতে ছিল পাড়াগাঁয়ের কলসি -
নিয়ে চলা রমণীর ন্যায় আকর্ষক ।
একটি আলোড়ন নীরবে কখনও হয়না শেষ ।
পর্বতের উগ্র বাতাসের ন্যায় বন্যা নেমে এলো।
যৌবনের অস্তিত্ব, এক সময়ে যায় মুছে,
আসে কঠিন পরীক্ষা - আত্মা তার হয়নি ক্ষত ।
সূর্যের উপস্থিতিতেও ছিল এক অন্ধকার -
এক ভয়, এক শিহরণ বিমুখে দাঁড়ানোর ।
ঝড় শান্ত, আকাশ চুপ, ধূসর মেঘ বিচ্ছিন্ন,
হলো রূপান্তর, হলো স্থির, ভয়ের পরাজয় ।
জল সরে গেলো, যৌবন পেলো পূর্ণতা ।
প্রসেনজিৎ©১৯৯৭-২০২৫
No comments:
Post a Comment