চড়ুইগুলো বসে শেওলা দেওয়ালে -
লুকোচুরি খেলছে বর্ষার সকালে।
জবা পাতার তলে নিজেই লুকিয়ে -
এদিক ওদিক দেখে গেলো পালিয়ে।
বন্ধু এলো ফিরে পেল না যে আর -
এক চড়ুই এলো ডালেতে আবার।
ঘুমে মগ্ন হয়ে শালিক ছিল বসে -
বিঘ্ন হলো ঘুম ঝোড়ো হাওয়া এসে।
কিচিরমিচিরে যে সবাই জেগে ওঠে -
সেই আবেশে বুঝি কিছু কুঁড়ি ফোটে।
সাদা টগরের ফুল গেল যে ঝরে -
সে পাবে স্থান আজ পূজার ঘরে।
ভাগ্য কেমন এ রচকের হায় -
কেও ডালে কেও বিধাতার পায়ে।
পুইডাল উঁকি দেয় কঞ্চিটি জড়িয়ে -
নিকটে হলুদ ফুল সব শাখা ভরিয়ে।
একটি চড়ুই এলো জানালার কাছে -
হয়তো বা খুঁজছে বন্ধু কি আছে !
চড়ুইগুলো অবিরাম যায় খেলে -
কখনো লাফিয়ে বা পাখনা মেলে।
গুল্মগুলো দেখি আকাশপানে চায় -
ঝাঁকঝাঁক ফুলেতে সুবাস বিলায় ।
বর্ষার ঝর্ণা মেলায় চারিপাশে -
ধরণী শীতল হয় ঝড়ের শেষে।
রুক্ষ জীবনে এমন হয় কি বোলো -
স্বচ্ছ নীল আকাশে বর্ষা নেমে এলো?
বজ্র বিহীন আসে কত বারিধারা হায় -
অব্যক্ত কষ্ট বয়ে চলে ফল্গুর ন্যায় ।
প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫
No comments:
Post a Comment