ছেঁড়া কাপড়, খালি হাত, কিছুই নেই তাঁর -
করে না কেউ কর্ণপাত, কেমন এ বিচার?
গৃহ নেই, স্নেহ নেই, হয় জীবন সাগর পার -
নেই কোনো আশ্রয় তাও ভাগ্গ্যে তিরস্কার ।
পথের পাশে পরে থেকে দিন গড়িয়ে চলে -
কাঁপা ঠোঁট, জোড়া হাত, শুধুই তাকিয়ে বলে -
সময় তাঁর ভালো নয়, তাও সে আছে ভালো -
মানুষের মনুষত্ব জানে না কোথায় গেলো !
খালি পেট, ক্লান্ত দেহ, প্রশ্ন ঘিরে মন -
ঈশ্বর কি আছে, মনে হয় সারাক্ষণ ।
কি দিন, কি রাত, সবই একাকার
ক্ষুধা তৃষ্ণায় যেন আলো ও অন্ধকার ।
শীর্ণ সমাজ, জীর্ণ সমাজ, কঙ্কাল হয়ে গেছে -
আত্মা, লজ্জা, বিবেক যেন ধুলায় পড়ে আছে।
ধরণী ছাড়বে যখন, সবই যে পড়ে রবে -
দম্ভ, সম্পদ, সম্মান এতো কলরব কেন তবে ?
উদাসীন মন, সর্বক্ষণ দেখে না কেউ ওকে -
জ্যান্ত লাশ, দীর্ঘশাস আছে রাস্তার বাঁকে ।
আছে যত যার, দেখ তারই হাহাকার ঘটে -
নদীর জলে কি আর সাগরের তৃষ্ণা মেটে ?
এদের নিয়ে ভাবে না কেউ, নেই কোন স্থান -
চোখের জলে আগুন জ্বলে, নেই যে অবসান ।
প্রভুর কাছে জানি সবাই সমান প্রাণ।
হাত বাড়িয়ে হয় না কেন এদের পরিত্রাণ ?
অবহেলার জ্বালা থেকে মুক্তি নেই কোনো -
চোখ খুলেই ঘুমিয়ে আছে এই সংসার যেন।
ভাবে সে মনে মনে কোথায় তাঁর প্রভু -
শেষ বিদায়ের আগে মেলে যদি কভু।
প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫
No comments:
Post a Comment