কিনারায় এসে প্রতিক্ষণ আছঁড়ে পড়ে -
যেন এই ছিল তার শেষ বিশ্রামের স্থল।
প্রাচীন পাথরের ওপর সজোরে ঝাপ্টা -
দিয়ে জানিয়ে দেয় যে সে এসেছে।
সে আর ফিরবে না। চিরকালের জন্যে -
সে করলো নিজেকে বিলীন।
এক রাশ জলের ফেনা ফোয়ারার মতন -
আকাশচুম্বি হয়ে ঢোলে পড়ে, সেই -
বহুআকাঙ্খিত সোনালী বালুকার সৈকতে।
কি অপরূপ সেই স্নেহমাখা সলিল ধারা -
যা হবে জীবনের শেষ শ্রদ্ধার অঞ্জলি।
গভীর অন্তহীন সমুদ্রের থেকে তাঁর সৃষ্টি -
আর নিজের অল্পকালের জীবন দ্বারা আনে -
এক অমূল্য বার্তা। জীবনটা খুবই ছোট,
কিন্তু সে তাঁর নিজেরই মধ্যেই এক পরম প্রাপ্তি।
এমন যদি হতো, বিন্দুগুলি পেয়ে যেত পাখনা,
নিজের অস্তিত্বের সাথে হতো আসল পরিচয়।
মেঘের সাথে হতো তাদের ক্ষনিকের পথ চলা -
তারপর বিদায় নিয়ে হতো নির্দিষ্ট যাত্রা।
এক পুনরাবৃত্তি - আবার ধরণী ছেড়ে, হবে সে -
গগনচুম্বী, নিজের প্রিয়জনের সাথে মিলে -
হবে নতুন জলের ধারা, মেলাবে স্বপ্নের বালুকায়,
তাঁরই অস্তিত্বের পটভূমি …
প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫
No comments:
Post a Comment