অনেকটা যে বোবা কাঠপুতুলের খেলা।
বৃহৎ একটি দেশ যে দুটুকরো হলো -
ভাই চেনে না ভাই কে, মা যে কষ্ট পেল।
ডান যে বলে বাম খারাপ, বাম ক্ষুব্ধ হলো -
থাকবো না এদের সাথে, এবার প্রাচীর তোলো।
জব্দ হলো জনগণ, নেতা মুচকি হেসে ভাবে -
কি মজা ! কি মজা ! এবার শাসন করা যাবে।
মন্ত্রী বলে সন্ত্রী কে, জনতা যেন মুখ না খোলে -
সন্ত্রী আশ্বাস দ্যায়, ওরা আপনারই পায়ের তলে।
খুদার্থদের মিথ্যে বলে আর কিভাবে চলে ?
সন্ত্রী বলে, মন্ত্রী মশাই মুখোশ যেন না খোলে !
সব সুতো যে একই হাতে, রাজনীতির মেলা -
হাততালি দিল সবাই, এতো কাঠপুতুলের খেলা।
যেমন নাচায়, তেমন নাচে, শিরদাঁড়া যে নেই -
অবাক, অন্ধ জনতা দেখে নাচে থৈ থৈ।
পেটে যখন ধরলো জ্বালা, এবার দেখলো অন্ধ -
মন্ত্রী যে মুখোশ পড়া, কেমন রাজনীতির গন্ধ।
ডান বলে বাম কে, রাগ করিস না ভাই -
আয় চল সকলে, রাজনীতির খেলা দেখতে যাই।
কাঠপুতুল সুতো ছিড়ে প্রাচীর নামিয়ে দিলো -
সেইদিন অনেক পুতুল স্বোচ্চার হয়েছিল।
সেদিন দু ভাই ফিরলো সাথে, আনন্দে উচ্ছল -
মা জড়িয়ে ধরলো হাসিমুখে, গালে অশ্রুজল।
প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫
No comments:
Post a Comment