আমি একটি কুয়ো যার ভাঁজপড়া ললাটে -
আছে ইতিহাসের মোহর, বক্ষে কষ্ট জমানো ।
আগামী প্রজন্ম আসে যায়, ছবি তোলে,
কেউ বা তাকিয়ে থেকে হয়তো বুঝতে চায়।
হয়তো কেউ করে কল্পনা অভিশপ্ত মুহূর্তগুলির -
যা সময়ের সাথে লুপ্তপ্রায়, ধুলো পড়া এক স্মৃতি।
ভুলতে পারিনি আজও, পারবো না কিছুতেই -
এ যেন মায়ের বুকে সন্তানের শেষ নিঃশ্বাস ফেলা ।
খুশির পরিবেশে যেন কালো মেঘ ঘিরে আশা -
নরকের কীট বেরিয়ে এসেছিলো মর্তলোকে ।
অনেক কাঁকড়াবিছে যেমন নিজের ক্ষুধা মেটায় -
নিরীহ ঘুঘুদের দংশন করে, বিষ ছড়িয়ে ।
ঝলমলে সূর্য মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করেছিল -
কিন্তু হটাৎই পিশাচদের আগমন হলো আর -
অন্ধকারে ঢাকলো সূর্য, মাথা নিচু করে লজ্জায় ।
হয়তো সূর্য নিজেকে লুকিয়ে নিলো এই
নিষ্ঠুর বর্বরতা দেখতে পারবে না তাই ...
তক্ষশীলার মতন মাটি লালে সিক্ত হলো -
তফাৎ থাকলো না অশ্রুজল ও রক্তের মাঝে ।
"ধরণীর প্রতিটি প্রাণীর মতনই ঝাঁপিয়ে এসে -
পড়েছিল আমার এ বুকে যেমন, সব ভয়ের -
থেকে ত্রাণ পেতে সন্তান জড়িয়ে ধরে মা কে।
সেই অসম্পূর্ণ স্বপ্নগুলো কে আমার বুকে -
এক অনন্তকালের বোঝা করে নিয়ে চলেছি। "
প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫
No comments:
Post a Comment