দেখো রাজা, তাকিয়ে এইদিকে দেখো,
চারিদিক এ ক্ষুধা, হাহাকার আর ভয়।
সত্যি বলছি রাজা, এইদিকে দেখো,
এইভাবে কি কেউ রাজা হয়?
জোড়া করে হাত, কথা দিয়েছিলে,
একদিন থেমে যাবে রাজ্যের অবক্ষয় ।
সিংহাসনে বসে, সবই ভুলে গেলে,
হায় রে হায়, এ রাজা আমার নয়!
মানুষ সন্তান তোমার, তুমি তাদের পিতা
মাটির মানুষ তুমি, অন্য কিছু নয়।
জ্বলছে কেন বলতে পারো নারীদের চিতা?
চোখ মেলে ঘুমিয়ে আছে, সেকি রাজা হয়?
দাবিয়ে, দাপিয়ে চলে এক দশক হলো শেষে
শ্বাসরুদ্ধ , বাকরুদ্ধ, ওরা যে মানুষ নয়।
চোখের জল শুকিয়ে গেলে, প্রতিবাদ চারপাশে,
সিংহাসন ছাড়ো রাজা, এই বাংলা তোমার নয়।
পাপ কে দমন করে যেমন চক্র বার এ বার,
রক্ত বয়েই চলছে দেখ, এ তো আমার গঙ্গা নয়।
বধির ও আজ শুনতে পায়, অন্ন্যায়ের হাহাকার,
জাদুগর তুমি, সোনা কে করলে লোহার মতন ক্ষয়।
সমাজের শৈশব তুমি ছিনিয়ে নিলেই কেন?
আজ ও কিছু বোবা তোমায় দিচ্ছে জয়দ্ধনি !
তিলে তিলে পাপ, তোমার জমছে তুমি যেন,
একদিন বিচার হবে, আজ তুমি মধ্যমনি।
নিতে যদি তুমি নাই পারো, এই রাজ্যের ভার
ভাবি শুধু আমি, রাজা কি এতো লোভী হয়?
কান্নার রোল, আর্তনাদ, জুলুম, ত্রাশ, চিৎকার -
জেনে নাও রাজা, এই সোনার বাংলা আমার নয়।
প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫
No comments:
Post a Comment