নৌকো বাইয়ে নিয়ে চলে -
দূর অনন্তপুরের মাঝি।
প্রাণবন্ত জলের ওপর ভাসিয়ে -
হয় তাঁর রোজকার জীবিকা নির্বাহ।
রবিকিরণ চঞ্চল জলের ওপর খেলে -
হাজার মুক্তোর ছটায় করছে আলোকিত।
তাঁর যে এই আলোকসজ্জা দেখার -
কোনো প্রকার চোখ বা উপায় নেই।
ক্ষুধার জ্বালা আর দায়িত্বের বোঝা,
নৌকো কে টেনে নিয়ে চলছে এক -
অদৃশ্য শক্তির দ্বারা, যা প্রতিনিয়ত -
তাকে মনে করিয়ে দেয় যে সে -
এক বাবা, স্বামী ও পুত্র বটে।
পেলিক্যানের পাখনার মতন চওড়া -
জাল ছড়িয়ে হয় তার ভাগ্য পরীক্ষা।
দ্বারের টান প্রতিক্ষনে লড়ে চলছে তাঁর -
সুডোল পেশীর অটুট বাহুবলের সাথে।
নৌকোর ওপর বৃষ্টি ঝরে পড়ার আছে -
এক আশ্চর্য পরিণতি, অশ্রুজল ও ঘাম -
দুটোই হারিয়ে যায় জলের ধারায়।
প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫
No comments:
Post a Comment