তার সোনালী চুল রোদে জ্বলজ্বল করে।
বাকি ছোটদের মতো তাঁর -
নিজের জন্যে কোন সময় নেই।
নিজের শরীর ভেঙে অর্থ উপার্জন করা,
এক না থামতে পারা নৌকো যাত্রার মতো ।
যদিও এটা সমাজের অযোগ্যতা,
তবুও ভোর আলো ফোটা থেকে -
শুরু হয় অক্লান্ত পরিশ্রম।
বালিকার নিষ্পাপ কোমল হাতের -
ভাগ্যরেখা করেছে জন্মের থেকে পরিহাস।
সমাজের এই কালিমা নিয়ে অনেকের -
মুখে উন্নতমানের বক্তব্য শোনা যায়।
মেঝে পরিষ্কার, বাসন ধুয়ে দিন যায় -
তাদের হস্তরেখা বিদ্রূপেই স্বয়ং নিজেকে -
পরিবর্তন করে ফেলে। হয় নতুন লেখা ।
সে বিলাপ করে না, করে না রসিকতা।
সমাজের অবজ্ঞায়, জীবনের টানাপোড়েনে -
সেই দিনের শিক্ষচ্যূত ছোট মেয়েটি -
অবহেলায় হয়ে ওঠে পূর্ণরূপে যুবতী নারী।
প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫
No comments:
Post a Comment