Tuesday, October 21, 2025

শিশুশ্রমিক

সে এক বালতি জল টেনে নেয়,
তার সোনালী চুল রোদে জ্বলজ্বল করে।
বাকি ছোটদের মতো তাঁর -
নিজের জন্যে কোন সময় নেই।

নিজের শরীর ভেঙে অর্থ উপার্জন করা, 

এক না থামতে পারা নৌকো যাত্রার মতো ।

যদিও এটা সমাজের অযোগ্যতা,

তবুও ভোর আলো ফোটা থেকে -

শুরু হয় অক্লান্ত পরিশ্রম। 


বালিকার নিষ্পাপ কোমল হাতের -

ভাগ্যরেখা করেছে জন্মের থেকে পরিহাস।  

সমাজের এই কালিমা নিয়ে অনেকের -

মুখে উন্নতমানের বক্তব্য শোনা যায়। 


মেঝে পরিষ্কার, বাসন ধুয়ে দিন যায় -

তাদের হস্তরেখা বিদ্রূপেই স্বয়ং নিজেকে -

পরিবর্তন করে ফেলে। হয় নতুন লেখা । 


সে বিলাপ করে না, করে না রসিকতা। 

সমাজের অবজ্ঞায়, জীবনের টানাপোড়েনে -

সেই দিনের শিক্ষচ্যূত ছোট মেয়েটি -

অবহেলায় হয়ে ওঠে পূর্ণরূপে যুবতী নারী। 


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫


No comments:

Post a Comment