নদী বয়ে চলে আপন খেয়ালে -
ছেড়ে যায় চিহ্ন আগামীর জন্যে।
পাথরের মনে দাগ কেটে যায় -
নিজের মনের কথা বলে।
যৌবনের ঝর্ণাধারা প্রানোচ্ছল হয়ে -
আলিঙ্গন করে স্থায়ী পাথরের ওপর -
আর জন্ম নেয় অপরূপ গিরিখাত।
এ যেন নিজের অস্তিত্বের এক অংশ -
কারোর কাছে রেখে যাওয়া এক -
সুন্দর স্মৃতি যা সময়ের চক্রে পাষান কে -
মনে করিয়ে দেবে প্রাণবন্ত যৌবনের।
হাওয়াতে অগ্নিশিখার যেমন হয় কম্পন -
তেমনি পাষান ও শিউরে ওঠে সেই -
চঞ্চল চপলা কন্যারূপি ঝর্ণার আবেশে।
নিজের সংহতি চুরমার করে ঝর্ণা -
লেখে শিলার অমর ভাগ্য লিখন।
শিশির যেমন মেলায় চোখের পলকে,-
সেই চঞ্চল কামিনী ও নিযেকে বয়ে -
নিয়ে চলে গভীরতার পথে কারণ -
নদীর পূর্ণতা আসে সাগরে বিলীন হয়ে।
যৌবনদীপ্ত সেই ধারা কিন্তু ভোলেনি -
তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি, যা পাষানের -
হৃদয় কেও করেছিল অশ্রুপূর্ণ।
নতুন জন্ম নিয়ে সেই চাঞ্চল্যের -
ঝর্ণাধারা আবার সেই প্রাচীন পাথর কে -
দেবে যৌবনের জোয়ারে ভাসার অনুভূতি।
প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫
No comments:
Post a Comment