Wednesday, September 24, 2025

নদীর চিহ্ন - submitted

নদী বয়ে চলে আপন খেয়ালে  -

ছেড়ে যায় চিহ্ন আগামীর জন্যে। 

পাথরের মনে দাগ কেটে যায় -

নিজের মনের কথা বলে। 


যৌবনের ঝর্ণাধারা প্রানোচ্ছল হয়ে -

আলিঙ্গন করে স্থায়ী পাথরের ওপর -

আর জন্ম নেয় অপরূপ গিরিখাত।


এ যেন নিজের অস্তিত্বের এক অংশ -

কারোর কাছে রেখে যাওয়া এক -

সুন্দর স্মৃতি যা সময়ের চক্রে পাষান কে -

মনে করিয়ে দেবে প্রাণবন্ত যৌবনের। 


হাওয়াতে অগ্নিশিখার যেমন হয় কম্পন -

তেমনি পাষান ও শিউরে ওঠে সেই -

চঞ্চল চপলা কন্যারূপি ঝর্ণার আবেশে। 

নিজের সংহতি চুরমার করে ঝর্ণা -

লেখে শিলার অমর ভাগ্য লিখন।  


শিশির যেমন মেলায় চোখের পলকে,-

সেই চঞ্চল কামিনী ও নিযেকে বয়ে -

নিয়ে চলে গভীরতার পথে কারণ -

নদীর পূর্ণতা আসে সাগরে বিলীন হয়ে। 


যৌবনদীপ্ত সেই ধারা কিন্তু ভোলেনি -

তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি, যা পাষানের -

হৃদয় কেও করেছিল অশ্রুপূর্ণ। 


নতুন জন্ম নিয়ে সেই চাঞ্চল্যের -

ঝর্ণাধারা আবার সেই প্রাচীন পাথর কে -

দেবে যৌবনের জোয়ারে ভাসার অনুভূতি। 


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫

No comments:

Post a Comment