এক শীতল অনুভূতির জায়গা, যা জীবনের -
তপ্ত পরিস্থিতিতে থেকে করতো পরিত্রান |
সহজ ছিল সেই গাছের উন্মুক্ত বাহুডোর -
যা প্রতিবারই আমাকে করতো আলিঙ্গন |
ছুটির দিন পড়া ফাঁকি দিয়ে গাছে উঠে -
নিজের জগতের মধ্যে হারিয়ে যেতাম |
ডালের ওপর বসে নিজেকে মনে হতো রাজা -
ক্ষনিকেরই ছিল অনুভূতি ! তাতে ক্ষতি কি?
ক্ষুদ্র মনে হতো প্রজাদের, দিতাম কাল্পনিক আদেশ |
কাঠপিঁপড়েরা কামড় দিলে ফিরে আসতাম স্বমহিমায় |
আফসোস হতো সুপারি গাছের উচ্চতা দেখে -
বুঝতাম ওই উঁচু সিংহাসন যে আমার নয় |
হালকা হাওয়া এসে দোলা দিতো সিংহাসনে -
তাঁরই সাথে কানে আসতো মায়ের বকাঝকা |
নিজের রাজত্ব ছেড়ে, নামতাম নতমস্তকে -
রাজকার্য ছেড়ে শুরু হতো ছুটির দিনের পড়াশোনা |
প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫
No comments:
Post a Comment