Sunday, October 26, 2025

মুক্ত পালতোলা

মুক্ত মন স্বাধীন হওয়ার রাখে অভিপ্রায়, 
পালতোলা নৌকো হবে জীবন -
মাঝিবিহীন হবে আনন্দ যাত্রা। 

নোঙর হবে না কোনো খুঁটিতে -

নদীর পার ছুঁয়ে যাবো তবে দাঁড়াবো না। 

কোনো গাছের গুঁড়িতে ধরা দেব না -

শেকল সম জীবনকে করবো পরিত্যাগ। 


কিনারায় বসবাসকারী অনেক মানুষদের -

দেখে খুশিতে হাত নাড়িয়ে নেব বিদায়। 

অসীমের দেখতে চাই কোথায় হয় শেষ। 

উত্তাল ঝড়, পালের সাথে করবে খেলা -

স্বপ্নের ভ্রমণের ডাক দেবে ফেরারী মন। 


অপেক্ষারত অচেনা মনের খোঁজ পাবো -

অচিন শহরের পাথরের সাজানো রাস্তায়। 


ফুলে ফেঁপে ওঠা ঢেউ নৌকো দোলায় -

তেমনি জীবনে সিদ্ধান্তগুলিও হয় সম্মুখীন। 

মন কে জানাবো নতুন করে মনের ইচ্ছে -

স্রোতের বিমুখে চলা, হাজারের বিরুদ্ধে কথা বলা -

এ যেন সব স্বপ্ন পূরণের এক স্বর্ণালী শুরু।   


প্রসেনজিৎ দাস ©১৯৯৭-২০২৫



একাকী কোণ

সে ছিল নিদারুণ নীরবতার মধ্যে,
তাঁর নিজের এক একাকী জগতে।
শয্যার এক কোণে পরে থাকা -
ডাইরির পাতায় লেখা মনের বার্তা। 

হাসি, কান্নার মাঝে ছিল জীবন যাত্রা। 

ফল্গুর ন্যায় বয়ে গেছে নীরব অশ্রু। 

সব হারানোর ভয়কেও করেছিল পরাজিত -

এই জীবনের অসম সংগ্রামে। 


লড়াই যে শুধু একটা মানবের -

জীবনকালেই সীমাবদ্ধ থাকে না। 

ওটা হস্তান্তর হয় পরের প্রজন্মের কাছে। 


কুঁচকে যাওয়া শুকনো পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ -

আছে রাত জাগা শান্ত ক্রন্দনের কথা ।

রাত জেগে অন্ধকারের নীরবতা কে -

নিজের জীবনের শেষ সাথী করার যন্ত্রনা,

আছে অস্পষ্টভাবে লেখা।


অনেক বিমর্ষ ভাবনা হয়তো লেখা যায়না ।

অনেক নিদ্রাহীন রাত তাঁকে শিখিয়েছিল -

সব রাতের শেষে ভোরের আলো ফোটে না। 


প্রসেনজিৎ দাস ©১৯৯৭-২০২৫



সুখী দোয়েল

বৃষ্টিতে লোহার রেলিংগুলোয় পড়ছে জল ঝরে - 
ছোট একটি দোয়েল এলো লেজটি নেড়ে। 
ওপর থেকে কাক দেখছিলো কৌতূহলী মনে -
পাখনা ভেজা দোয়েল কার্নিশের এক কোণে। 

ধূসর রঙের ছায়া ছড়িয়ে আকাশ জুড়ে -

ভেজা কাক একই স্থানে বসে চুপটি করে। 

খিদে নেই দোয়েলের তবে চঞ্চলতা পায়ে -

খানিকটা সময় নিয়ে তার পালক সাজায়। 


খেলার মাঝে বৃষ্টিতে এক বালক দৌড়ে এলো -

ঝিমিয়ে থাকা কাক, সেও উড়ে গেলো। 

দোয়েল তখনও ব্যস্ত নিজে সাজসজ্জায় -

মায়ের ডাকে বালকটি ফিরে গেলো দরজায়। 


ডাকলো দোয়েল সজ্জা শেষে মধুর সুরে -

খানিক পরে আরেক দোয়েল আসলো উড়ে। 

বৃষ্টি শেষে ধূসর চাদর এবার নীল হবে -

ওরা দুজন একসাথেই সুখের উড়ানে যাবে। 


প্রসেনজিৎ দাস ©১৯৯৭-২০২৫


মা

অস্তিত্ব তাঁর শীতল শিশির কণা -

এমনিই তাকে জানতো অনেকজনা ।

অনেক কিছুই সে চেয়েছিলো বলতে -

হয়নি তা বলা দৈনিক জীবনে চলতে ।


হলো না শোনা, তাঁর বাকি কথা যত -
সময় দিলো ফাঁকি, রয়ে গেলো ক্ষত ।
বহু প্রশ্ন, বহু কথা আজও আছে বাকি -
অসীম নীরবতা, দিলো চুপিসারে উঁকি ।

সময় আসছে কমে, জানা ছিল তাঁর, কিছু -
অনুভূতি চোখে এসে, প্রকাশ পায়নি আর ।
সর্বদাই মন তাঁর শিশুসুলভ, মাত্রা ছাড়িয়ে  -
নির্ভীক তমসা যাত্রী, দিয়েছিল মৃত্যুকে হারিয়ে ।

প্রসেনজিৎ দাস ©১৯৯৭-২০২৫




Saturday, October 25, 2025

কুমোর

দেখেছো কখনো মৃত্তিকার পাত্র?
প্রখর রৌদ্রে ফেলে রাখা থাকে?
অমূল্য শিক্ষা - জীবনে শক্তিশালী -
হতে গেলে নিজেকে অনেক -
বাধা বিপত্তি পেরোতে হবে। 

শিশুর ন্যায় সে নরম মাটি দিয়ে গড়া।  

কুমারের শ্রমের সুবাস আর কল্পনা,

আছে তাঁরই নির্মিত শিল্পকলায়। 


স্রষ্টা যেমন চেয়েছেন, তেমনই -

আকৃতি দেওয়া হয়েছে।

কল্পনা আর তীব্র তাপের মিলনে -

পেলো এক মনোরম আকার। 


সরল মনের মতোই, মাটিও সেই রূপ -

ধারণ করে যা কুমোরের নিপুন আঙ্গুল -

আর মনশ্চক্ষুর মেলবন্ধনে নেয় জন্ম। 

স্নেহ, মায়া, মমতা, শাসন, শিক্ষা দিয়ে -

সমাজের আদর্শ মানুষের গঠন হয়।


প্রসেনজিৎ দাস ©১৯৯৭-২০২৫


বাঁশিবাদক

বসন্তের মাস নিয়েছে বিদায়। 
ব্যস্ততার শহর এখন অনেকটা ব্যস্ত । 
বর্ণিল মেলা যেই আনন্দ নিয়ে আসে,
তা শহরের প্রতিটি ব্যবসাকে ঘিরে।

ভিড় বাজারের মাঝে দেখলাম -

একজন ফেরিওয়ালাকে বিভিন্ন -

সুরের বাঁশি বিক্রিতে ব্যস্ত ।


কিছু স্বস্তার আছে আর কিছু দামি। 

জুনের সময়ে সূর্য তাঁর পূর্ণ তেজে। 

বাচ্চাদের মন টেনে নিচ্ছে বাঁশির সুর। 


ছোটদের সুরের জ্ঞান না থাকলেও -

এক অজানা আকর্ষণ তাদের কাছে -

টেনে আনছে। বাবা মায়ের দর -

কষাকষিতে জয়ী হয় দুই শ্রেণী -

বাচ্চারা ও বিক্রেতা। 


বাঁশের সঙ্গীত চতুর আঙ্গুলের মধ্য -

দিয়ে জন্ম নেয় ।

বাচ্চাদেরও যুগ বদলায়।

তার স্থান পায় প্লাস্টিকের খেলনা। 


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫ 



ওদের পরিশ্রম

উত্তপ্ত চুল্লি, গর্জনে লাল হয়ে জ্বলে ।
তাঁরা আগুনের সাথে লড়াই করে । 
এক অসম নিয়মে উপার্জন করে।

লোহা যেথায় গোলে যায়, সেথায় -

শ্রমিক দেয় নিজের আসল পরিচয় ।


ওদের অসীম কষ্ট কেনা স্বল্প মূল্যে ।

কয়লা, আলকাতরা দিয়ে তৈরি হয়,

মানুষের জন্য সহজ চলার পথ ।


মসৃণ করেছে যারা চলার পথ,

তাঁদের কথা কারা ভেবেছে?


সমাজের বৈষম্য পরনে জুতোর মতো ।

ওপরের স্তর তেল চকচকে, আকর্ষক -

আর নীচের দিক সম্মুখীন হয় আবর্জনা,

অবহেলা ও তিরস্কারের।


প্রসেনজিৎ দাস ©১৯৯৭-২০২৫


বৃষ্টির মেঘ

অসীম শান্তিতে বিচরণ, অনবদ্য দৃশ্য ।
সাদা পদ্যের যেন এক অপ্সরা সভা ।
নীলাম্বরী চাদরে ঢাকা ওরা গৃহবাসী ।
অঝোর ধারায় ঝরে পড়ে ধরণীর বুকে ।

বিশাল পৃথিবীকেও দেখতে লাগে ক্ষুদ্র -

ঈগল পাখির চোখে দেখা এই ভূমিকে ।

সূর্যের পথ ধরে চলে, সে পায় অনন্ত রশ্মি ।

অন্ধকার যে তাকে ছুঁতেও পারবে না ।


সময়ের সাথেই করে নিজেদের পরিবর্তন -

ধরণীর বাসিন্দাদের তরে, নিজের জন্যে নয়।

নির্মল শ্বেতকায় মেঘমণ্ডলী রূপ পরিবর্তন -

করে নেমে আসে ধূসর রঙের গাম্ভীর্য্যে ।


মেঘমালা তাঁর সম্ভার উজাড় করে দেবে ।

শীতল হবে জগৎ আর কৃষকের মন ।

তাঁদের কিছু বন্ধুরা এগিয়ে চলবে অন্যদিকে -

যেথায় আকুল আমন্ত্রণে পূরণ হবে তাঁর কর্তব্য ।


প্রসেনজিৎ দাস ©১৯৯৭-২০২৫


Thursday, October 23, 2025

ইতিবাচকতা

আবেগের পাহাড়ের চূড়ার দিকে,
বহু মানুষ অন্ধ হয়ে আরোহণ করে। 

পরপর আসে বিপত্তি আর হতাশা। 

শুধুই লৌহসম কঠোর মন এই -

বাধাকে ধুলির ন্যায় উড়িয়ে দেয়। 


হতাশার গভীর অন্ধকার উপত্যকায়,

যারা একাকী নিবাসী, তারাই ওখানে -

বাস করে পায় চির শান্তি। 


আবেগের চুড়াজয়ী ব্যক্তি সর্বদাই -

স্বপ্নের শিখরে করে একলা বাস। 


প্রসেনজিৎ©১৯৯৭-২০১২



দেশলাই কাঠি

মুষ্টিমেয় দেশলাই কাঠি -
রাখা আছে বন্দি করে।  
এক ঠান্ডা চাপা নীরবতা -
সেই অন্ধকার বাক্সে। 

এদের মুক্তি খোলা আকাশে -

নিজেকে জ্বালিয়ে ছাই করে। 

কাঠির অংশে ছিল প্রাণ -

কোনো একক্ষণে, সবুজ গাছের -

ডালের এক অভিন্ন অঙ্গ। 


দলা করা বারুদ যেন এক -

প্রতিবাদী মন, যে নিজেকে -

নিঃশ্বেস করেও পেতে চায় -

সেই বহু আকাঙ্খিত স্বাধীনতা। 


কি অপূর্ব সমীকরণ। মৃত্যুই মুক্তি।  

মাতৃরূপী বৃক্ষ মানবজাতিকে -

দিয়েছে এক অমূল্য শিক্ষা । 

বিপ্লবীদের মায়েরা, সন্তানদের -

করেছে দেশের জন্যে উৎসর্গ। 


অগ্নিকণা জ্বলে ওঠার প্রতীক্ষায় 

দগ্ধ হয়ে হবে ধূসর ছাই -

জন্ম নেবে নতুন পরিচয়। 


প্রসেনজিৎ দাস ©১৯৯৭-২০২৫


পার্কে এক সন্ধ্যা

এক মনোরম স্বর্ণালী সন্ধ্যার গল্প -
সূর্যের মতন আমিও তখন গৃহমুখী ।

চলার পথেই একটু থমকে দাঁড়ালাম। 

দেখলাম, জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় -

একসাথেই করছে অবাধ বিচরণ। 

হাতে পায়ে ধুলো মেখে কিছু বাচ্চারা -

পার্কের দোলনাতে হাত ছেড়ে দুলছিলো। 


লাজুক ফিসফিসানি, হাতে রয়েছে হাত -

নিজেরাই গেছে নিজেদের মধ্যে হারিয়ে । 

চুরি করা দৃষ্টির অব্যক্ত আকর্ষণ,

এটাই কিশোরকালের স্বপ্নময় দিন ।


অনেক ঋতু পার করে এসে, এক -

সন্ধ্যাকাল আসবে যখন টোল পড়া -

গালে বিদ্যমান হবে কুচঁকানো চামড়া। 


তখন থাকবে একই রকম হাতে হাত -

রাখার অভ্যাস ও প্রতিশ্রুতি,

জীবনের সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। 


প্রসেনজিৎ দাস © ২০১২ - ২০২৫ 



ডায়েরিতে

কিছু সময় হাতে নিয়ে যদি দেখো,
ডায়েরির ভাঁজে তুমি পাবে, প্রতিদিন -
তোমার জন্য একটি করে চিঠি ।

মধুর প্রেমের রঙকে বিশ্বাসের তুলি দিয়ে -

সততার ক্যানভাসে আঁকা অনুভূতি।

মূল্য নেই আজ আর কোনো কিছুরই।  


জানবে আমার মনের ইচ্ছেগুলো,

যা কখনো হয়নি পূরণ, হবেও না । 

যেই অনুভূতিগুলো প্রকাশ পেলো না -

সেটা কেমন দম বন্ধ হয়ে পরে রয়েছে ।


অনেক কালের বন্ধ থাকা ঘরের দরজা -

খোলার পর আলো এলে, পুরোনো স্মৃতি -

নিজেকে আবার তাঁর যৌবনের সাথেই -

করায় বাধ্যতামূলক পরিচয়। 


বাতাসে নির্মিত দুর্গ যে বাতাসেই মেলায় -

অনেকটা তোমার দেওয়া প্রতিশ্রুতির মতন । 

পাতাগুলোর মাঝে ছেঁড়া শুকনো পাপড়িগুলো -

বোঝায়, সব ফুলের যে স্বাভাবিক জীবন হয়না।


প্রসেনজিৎ দাস ©১৯৯৭-২০২৫


Wednesday, October 22, 2025

শান্তির জন্য

দূর পাহাড়ের বুকে ভিক্ষুরা,

সেখানে সান্ত্বনার সন্ধানে যায়।   


প্রকৃতির সাথে একতা অনুভব করে,

চির আনন্দ এবং বিরল অনুভূতি ।


প্রকৃতি মায়ের কোল ভিন্নরূপী -

বন্য, মৃদু, চঞ্চল অথচ উনমুক্ত।


নিরিবিলি প্রকৃতি আমাদের শেখায় -

একজন প্রচারকের মতো। 


গাছ থেকে দোদুল্যমান এক রাশ ফুল -

বিলিয়ে দেয় তার অপরূপ সৌন্দর্য। 


প্রশান্তির খোঁজে মানুষ সারা জীবন -

বাহিরে তাড়া করে বেড়ায় -

সেই অন্তর্নিহিত শান্তির সন্ধানে।


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫



প্রতিফলন

যৌবনের ঋতুতে ফিরে আমি দেখি -
এবং স্নেহের সাথে স্মরণ করি।
প্রেমের দিনগুলি প্রশান্তি এনেছিল -
আমার হৃদয়ে চিরকাল থাকবে গেঁথে ।

তুলেছিলাম মসৃন রঙিন নুড়ি ,

তাতে নাম খোদাই করা হতো ।

নিজেদের মধ্যেই বলতাম আমরা -

কোনো রঙিন পাথরের কার মালিকানা।


ছুঁড়ে ফেলতাম যেখান থেকে তুলে নেওয়া হতো। 

আর এভাবেই হতো স্নেহের সাথে পুনরাবৃত্তি। 

নদীগুলির অস্তিত্বের নিজস্ব রঙ রয়েছে,

সৃজনশীল প্রকৃতির সাথে এক হয়ে যায়।


এখন নতুন করে যাত্রা হবে শুরু,

একটি নবায়িত শক্তির সাথে।

খুব কম মানুষই এমন ভাগ্যবান হয়,

যারা জীবনকে নিজের গতিপথ -

অনুসরণ করার জন্য সংজ্ঞায়িত করে।


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫


যাযাবরের গীতিনাট্য

এক মরুর যাযাবর ভূমির উত্তপ্ত বালিতে -
জীবনের কষ্টের একটি গীতিনাট্য গাইছে ।
এক মায়াবী তৃপ্তি, সরল ভালোলাগা -
ও আনন্দের সুরে ভরা অতীতের কথা।

তাঁর অঙ্গুলি একটি তারের ওপর -

এক বিষণ্ণতার সুর জাগিয়ে তোলে। 

তাঁর অন্তর্ভেদী সুর এবং অনুভূতিগুলো -

ক্ষনিকের সাথী হয়ে সেই বালুকা টিলার -

ওপর দিয়ে এক অন্তরঙ্গ স্নেহে প্রবাহিত হয়।


অতীতকে সে করে জীবন্ত যখন -

সে একমনে গান গায়। তার সুর দিয়ে -

সে প্রতিটি প্রাণের কণাকে স্পর্শ করে।


তাঁর পোশাকের আঁচলটা যে -

তাঁরই মনের মতো উড়ে বেড়ায় -

সীমাহীন তৃষ্ণার্ত মরু সাগরে। 


আকাশে চাঁদ যখন ওঠে পূর্ণ যৌবনে, তাঁর -

আত্মার সাথে দিকহীন গানটি আবদ্ধ হয়। 

আমাবস্যার তমসা রাতের বনবাস পার করে - 

দূর দিগন্তে চাঁদ ওঠে তাঁর রূপালী ঝর্ণায় ।


প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫