সবার মাঝে সেই অতল গহ্বর -
খুলে যাওয়ার পর থেকে,
জীবন যে আর স্বাভাবিক নেই।
বজ্রধ্বনির সাথে অসহায় দিনগুলো -
কেটে যায় নিরাশা আর শঙ্কায়।
মানুষ হতাশা আর হতাশার -
এক ঘোরের মাঝে ভেসে বেড়ায়।
সবার মাঝে এক অস্বাভাবিক শূন্যতা।
এখন কাঁচের মতন ভঙ্গুর জীবনযাত্রা।
রাস্তা দুর্গম আর বেদনাদায়ক।
সবারই মাঝে দূরত্ব যে অনেক বেশি -
গোলকটা এখন এক অস্থির গোলকধাঁধা।
বেঁচে থাকার ইচ্ছে যে অপরিসীম,
যা মানুষকে নির্মম ও কঠিন পরিস্থিতেও -
দেয় মানবজাতিকে এক আসার আলো।
সূর্যমুখীর থেকে শেখা যায়, মেঘ এলেই -
যে সব শেষ তা নয়, আছে লড়ে যাওয়ার -
এক দৃঢ় সংকল্প, পরিণতি উপেক্ষা করে।
ধ্বংসস্তূপের মাঝে বসে কাঁদতে না পারা,
আর কাপড়ে মোড়ানো মায়ের বুকে -
স্তন্যপুষ্ট শিশুর নির্জীব দেহ,
প্রশ্ন করে ঈশ্বরের অস্তিত্ব্যের।
প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫
No comments:
Post a Comment