তার জিনিসপত্র বিক্রির চেষ্টা করছিল।
তার হাতে নেওয়া বড় ঝুড়িটিতে,
স্তরে স্তরে ভাঁজ করা উজ্জ্বল পর্দা।
তার কাছে চুড়ি, আংটি এবং মালা ছিল।
এক ধোনি ব্যক্তির কাঁচের জানালার -
থেকে একটি মিষ্টি হাসি দেখা যাচ্ছিল।
মেয়েটির মুখে আনন্দ ও সুখের রঙ,
গলায় একটি সোনার সুসজ্জিত মালা।
বিক্রেতা ব্যস্ত রাস্তায় হেঁটে বেড়ায়,
রৌদ্র, জল, ঝড় উপেক্ষা করে।
লাভ বা ক্ষতির হতে হয় সম্মুখীন।
চামড়া পোড়ানো তীব্র গরমে,
তাঁর চলার নেই কোনো বিরাম।
মাঝে মাঝে খাবার ছাড়াই -
জল খেয়েই তাঁর দেহ কে দিতে -
হয় চিৎকার করার প্রবল শক্তি।
তাঁর মেয়ে রঙিন চুড়ি চাইত -
পারেনি সে এক জোড়াও দিতে।
ভাঙা হৃদয়ে ছিল শিশুসুলভ দাগ।
অন্যের কন্যা সন্তানদের মধ্যে -
ফেরিওয়ালা খুঁজে পেয়েছিলো তাঁর -
নিজের মেয়েকে। মনকে স্বান্তনা -
দেওয়ার এক অনবদ্য দৃষ্টিভঙ্গি।
প্রসেনজিৎ দাস © ১৯৯৭-২০২৫
No comments:
Post a Comment